এখন পারফর্ম করুক না আর করুক প্রতি দুই-তিন সিরিজ পর পর সৌম্যর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফর্মে ফেরানোর আশায় সবশেষ এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপে খেলানো হলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। এমন পারফরম্যান্সের পরও বারংবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় তাকে ঘিরে সমালোচনার বন্যা বইয়ে গেছে।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে চান্ডিকা হাথুরুসিংহের ভূমিকা নিয়েও। তবে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে অবশেষে নিজের ছন্দ খুঁজেছেন পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। ওয়ানডে সিরিজ শেষে বাংলাদেশের চোখ এখন টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
প্রথম ম্যাচের আগে আজ মঙ্গলবার নেপিয়ারে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সৌম্য সরকারকে দীর্ঘদিন আস্থার নজরে রেখেছেন এই লঙ্কান কোচ। গণমাধ্যমের সামনে হাথুরুও এবার প্রশংসায় ভাসালেন সৌম্যকে।
এদিকে সৌম্যের ফর্মে ফেরা সম্পর্কে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ‘সৌম্য যেভাবে পারফর্ম করেছি তাতে আমি খুশি। আমি জানতাম সে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার মতো ইনিংস খেলার সামর্থ্য রাখে। আমি যখন এখানে ছিলাম তখন সে এটা করে দেখিয়েছে। আমরা সবাই বলি ক্লাস ইজ পারমানেন্ট, ফর্ম অনেক কিছুর কারণেই প্রভাবিত হয়।
বিশেষ করে আপনার মাথায় কি চলছে। আপনার মাথা যদি পরিষ্কার থাকে, আপনি যদি আপনার ভূমিকা বুঝতে পারেন, পরিবেশের সঙ্গে কমফোর্টেবল থাকলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ই তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারে। তার মাথাটা একেবারে পরিষ্কার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সে পারফর্ম করতে না পারার মতো কোনো কারণ নেই।’
এ সময় এই ওপেনারকে দেশের অন্যতম সেরা বলতেও পিছপা হননি কোচ, ‘সৌম্য মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী। আমার দেখা পুরো দেশের অন্যতম সেরা। সে জানত এই ম্যাচে ব্যর্থ হলে কি হতে পারে। আমরা শুধু ওর উপর আস্থা রেখেছি। তাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছি। পুরো দলের আস্থা ছিল ওর উপর। আমি মনে করি এ কারণেই সৌম্য ফর্ম ফিরে পেয়েছে।’
প্রধান কোচ বলেন, ‘আমি না ও নিজেই নিজেকে ফিরিয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে এটা সৌম্যর জন্য ছিল ‘হয় মারও না হয় মরো’ এটা প্রমাণ করে সে মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী। সে জানতো পুরো দেশ তার বিপক্ষে ছিল।
সে যদি ব্যর্থ্য হতো তাহলে কি হতো সেটা আমরা জানি না। আমরা যে কাজটা ভালো করেছি সেটা হলো আমরা তাকে বিশ্বাস করেছি, তাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছি এবং পুরো দল তাকে সমর্থন দিয়েছে। তাতে মনে হয়ে সে ফর্ম ফিরে পেয়েছে।’